মিয়া আবদুল হান্নান : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, শুধু বর্ষা আসলেই জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধ করার চেষ্টা নয়, বর্ষার আগেই পর্যায় টক্রমিকভাবে সকল ঝুঁকিপূর্ণ নদী ভাঙন প্রবণ এলাকাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের কোথাও আর নদী ভাঙন থাকবে না।প
বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, গজারিয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভাঙন প্রবণ দেড় কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে বাঁধের দৈর্ঘ্য আরও বাড়ানো হবে। আগামী বর্ষার আগেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি। সমগ্র মুন্সিগঞ্জ জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৪৩৪ কোটি টাকার কাজ চলমান উল্লেখ করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী প্রমুখ। পরে উপমন্ত্রী নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ও বন্যার্ত দুই গ্রামের ৩০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে রাস্তায় বৃক্ষ রোপণ করেন উপমন্ত্রী।
ধলেশ্বরী নদীর তীরে ঘেষে কালীগঙ্গায় গ্রাস করছে কলাতিয়া ইউনিয়নের নতুন চর খাড়া কান্দী গ্রামে প্রায় ৫০ টি বাড়ি এক সপ্তাহের ভিতরে বিলীন হয়ে গেছে নদীর পেটে। অনেকে ভিটেমাটি শেষ সম্বল কেড়ে নিয়েছ। মাথা গুজার ঠাঁই টুকু হারিয়ে গেছে। আজ বুধবার সকাল সারে ১০ টায় পাকা, আধাপাকা ভিটে বাড়ি সারিয়ে নিতে দেখা গেছে মরহুম দুখাই মাদবরের পুত্র মোঃ ফরিদ হোসেনকে। তার ৪ ভাইয়ের প্রায় ৮ পাখি জমি ও ভিটি- বাড়ি নদী ভাঙ্গন ছুঁইছুঁই রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে বসত ঘর ভেঙে অন্যত্র সরাতে ব্যস্ত, মোঃ দৈনিক এশিয়া বাণীকে জানালেন, সারা রাত ভয়ে ঘুমাতে পারিনি এই বুঝি ঘর-বাড়ি নদীর ভাঙ্গনটা এসে পড়লো। মোঃ ফরিদ হোসেন জানান,অতিরিক্ত নদী খননের ফলে বিশাল পরিমাপের গভীরতা সৃষ্টির কারণে অাজ আমরা নিঃস্ব।অনেকের শেষ ভিটেমাটি হারিয়ে দিশেহার। যেন আমাদের দেখার কেউ নেই।
|